চট্টগ্রামের সিমেন্ট ক্রসিংয়ে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনও মন্ত্রীর সাথে ছিলেন। শুক্রবার ৯/১০/২০২০ বিকেলে এ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে কাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন খোরশেদ আলম সুজন। জবাবে মন্ত্রীও প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে নগরী থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পরিবহন যাতায়াত সহজ হবে। তাছাড়া যানজটের ভোগান্তি থেকে বিমানের যাত্রীরা মুক্তি পাবেন। চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, এতে চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরো নতুন নতুন প্রকল্প প্রাপ্তির পথ সুগম হবে। মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম সফরকালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন। এরপর ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এ প্রকল্প যখন অনুমোদন পায়, তখন তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়। নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চারলেইনের এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এদিকে পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’র কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।