ছোট-বড় সকলের জন্যই গরুর দুধ বেশ উপকারী খাবার। কিন্তু খাঁটি দুধ সর্বত্র মেলে না। ক্রমশ বেড়ে চলেছে ভেজাল দুধের দৌরাত্ব। বর্তমানে গরুর দুধে পানি, ডিটারজেন্ট পাউডার, ফরমালিন, গ্লুকোজ, সাবানসহ নানাকিছু মেশানো হচ্ছে। দুধের পরিমাণ ও ঘনত্ব বৃদ্ধি, দীর্ঘস্থায়িত্ব বৃদ্ধি কিংবা স্বাদ অপরিবর্তিত রাখার জন্য এসব রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ খাঁটি দুধের পরিবর্তে সরবরাহ করা হচ্ছে রাসায়নিক দুধ। ভেজাল দুধ উপকারের পরিবর্তে সৃষ্টি করছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তিল্লী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল দুধ, এসব দেখার যেন কেউ নেই!
সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রয় করতে আসা ব্যাবসায়ী ও ঘোষদের দুধের গ্যালনে ভিতর রয়েছে ১০থেকে ১২ লিটার করে পানি। আর সেই পানির ভিতরেই ডালা হচ্ছে দুধ!
অভিযোগ রয়েছে, সাদ্দাম ঘোষ, বরুন দাস ও আনোয়ার সহ আরও অনেকেই মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে বহুদিন যাবদ ধরে পাউডার ও পানি মিশ্রিত দুধ অবাধে বিক্রি করছেন তারা।
ঢাকা থেকে দুধ ক্রয় করতে আসা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বাজারে দুধ ক্রয় করতে এসে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। আপনাদের মাধ্যমে দেখতে পেলাম বাজারে পাউডার ও পানি মিশ্রিত ভেজাল দুধ বিক্রির উৎসব চলচ্ছে।
বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা মো.মোক্তার হোসেন বলেন, আমাদের নিকট থেকে দুধ ক্রয় করার পরেই ঘোষেরা দুধে পানি মিশিয়ে তা বাজারজাত করে।
বাজারে দুধ ক্রয়কারি সাদ্দাম মুচকি হেঁসে জানান, দুধে পানি মিশালে দুধ ভাল থাকে। তাই ৩০ লিটার দুধে ১০ লিটার পানি মিশানো হয়ে থাকে।
এবিষয়ে তিল্লী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দুধ ব্যাবসায়ী ও ঘোষদের ভেজাল দুধ বিক্রি না
করতে নিষেধ করা হয়েছিল।আজ তাদের দ্বিতীয়বারের মত সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।