চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর ইপিজেড পতেঙ্গা করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। পরিদর্শন শেষে নগদ এক লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান ও ডাক্তার ও নার্স সুরক্ষার জন্য ৫০ পিস পিপিই প্রদান করে। পরিদর্শনের সময় তিনি ডাক্তার, নার্স, সেচ্ছাসেবক, চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারী রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন।
এ সময় শিক্ষা উপ-মন্ত্রী নওফেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যেকোন সংকট নিরসনে সাহসিকতার সাথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এইবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট সংকট নিরসনে বঙ্গবন্ধুকন্যা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই সংকটকালীন সময়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল তৈরি করে উদ্যোক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করেছেন বলে জানান শিক্ষা উপ-মন্ত্রী। তাদের এই উদ্যোগ দেখে আগ্রহী হয়ে আরো অনেকে এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷
শিক্ষা উপ-মন্ত্রী পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন বন্দর-ইপিজেড-পতেঙ্গা করোনা হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা মোহাম্মদ হোসেন আহমদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন জাকির আহমেদ খোকন, আমির হামজা প্রমুখ, আলাউদ্দিন, জাহেদুল ইসলাম দূর্লব, হান্নান সুজন, মোহাম্মদ সাজ্জাদ মাসুদ , রানা মোতালেব সহ ডাক্তার,নার্স স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ১১ জুন ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ১ লাখ টাকা এবং এক বাক্স পিপিই দিয়েছিলেন নওফেল। পরে সেখানে আইসিইউ বেডের জন্য আরো ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
গত ১২ জুন হালিশহরে বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হওয়া ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রামে’ ৩ লাখ টাকা এবং শনিবার ১৩ জুন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৩৬ জন আউটসোর্সিং কর্মীর জন্য ৩ লাখ টাকা দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
এ ছাড়া শনিবার নগরীর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকটের কথা জেনে সাবেক মেয়র মনজুর আলমকে অনুরোধ করে অক্সিজেন সরবরাহও নিশ্চিত করেন নওফেল। এ নিয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে এমন তিনটি হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারে মোট ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা সহায়তা দিলেন চট্টগ্রাম-৯ আসনের এই সাংসদ।