রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার সাইদুর রহমান ওরূফে নৈশ প্রহরী,ওরূপে কুলির সম্পদ নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
একজন কুলি কি করে এত অল্প সময়ে অট্টালিকা অর্থ সম্পদের সম্পদের মালিক বনে যায় তা নিয়ে মুন্ডুমালা পৌর শহরে বইছে মুখরুচোক নানা গুন্জন প্রতিনিয়ত গুন্জনের ডালপালা মেলছে, জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া,
স্থানীয়রা বলছে, সাইদুর রহমান ছিলেন মুন্ডুমালা বাজারের কুলির সর্দার, তিনি লেখাপড়ায় প্রাথমিক স্কুলের গন্ডিও পেরুতে পারেননি।তার আয়ের প্রধান উৎস্য ছিল চোরাকারবারী করে (অবৈধ ভারতীয় পণ্য) বিক্রি করা।
এক সময় বিএনপির প্রয়াত নেতা শীষ মোহাম্মদের আর্শিবাদে মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রী কলেজে নৈশপ্রহরীর চাকরি নিয়ে পৌরসভায় শুরু করেন টেন্ডারবাজি। এর পর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তার সময়ের দুই মেয়াদে তিনি মুন্ডুমালা পৌরসভায় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে রাতারাতি ফুঁলেফেঁপে হয়ে যায় কোটিপতি।
এমনকি তার স্ত্রী হয় রাজশাহীর সর্বোচ্চ নারী করদাতা।এতে জনমনে প্রশ্ন উঠে কুলির সর্দার ও নৈশপ্রহরী হয়েও তিনি কি যাদুর বলে (রাতারাতি) এতো অল্প সময়ে এতো বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হলেন।
তিনি আবার ঘোষণা দেন আগামীতে মুণ্ডুমালা পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচন করবেন ।
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের ভাষ্য, সাইদুরের মতো লেখাপড়া না যানা ব্যক্তি যদি পৌরসভার মেয়র হয় তা হলে সেই লজ্জা পৌরবাসির। পৌর মেয়রের মতো সম্মানিত চেয়ারে যদি এরা বসেন তাহলে তো রাজনীতির আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। কারণ এসব কারণে উচ্চ শিক্ষিত, সম্ব্রান্ত ও সম্মানিত পরিবার থেকে কেউ রাজনীতিতে আসবে না। সাইদুররা যদি মেয়র হয় তাহলে বুঝতে হবে রাজনীতি বলে আর কিছু নাই,কারণ মেয়রের মতো সম্মানজনক পদে বসতে গেলে নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক পরিচিতি, পারিবারিক ঐতিহ্য ইত্যাদি থাকা অাবশ্যক বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এবং এলাকাবাসী দাবি তুলেছেন নৈশ প্রহরী সাইদুরকে ,দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) এর আওতায় নিয়ে আসা হোক এবং তার সম্পদের হিসাব করা হোক একটি মানুষ হালাল পথে এত সম্পদের মালিক হতে পারে না না না ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাইদুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।#