কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার কোদালিয়া এস.আই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুড়িগ্রামের রবিউল ইসলাম হৃদয় নামে এক যুবকের। তারপর পাকুন্দিয়াসহ বিভিন্ন যায়গায় এসে দেখাও করে তারা। একপর্যায়ে মেয়ের বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার ভাইয়ের সহযোগীতায় বাড়িতে যায় রবিউল সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে ছেলেকে আটক করা হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৩ জন তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এক পর্যায়ে রবিউল মেয়েকে গাজিপুর নিয়ে আসে ও সেখানে আবারও ২ দিন ধর্ষণ শেষে ফেলে রেখে যায় একটি হোটেলের সামেনে। স্থানীয় এক সংবাদ কর্মীর মাধ্যমে মেয়েটির বাবা খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে ও পাকুন্দিয়া থানায় প্রতারক প্রেমিক, ইউপি সদস্যসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়ার কোদালিয়া এস.আই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইল ফোনের অপরিচিতো নাম্বারের মাধ্যমে পরিচয় হয় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাটেশ্বরী গ্রামের মুখলেছুর রহমানের ছেলে রবিউলের । এ সময় চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিরণ, তার ভাই রতন ও আফাজ উদ্দিন নামের তিনজনের সহযোগীতায় একাধিকবার প্রেমিক রবিউল ওই মেয়ের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো।
২০ মে মেয়েটির মা- বাবা বাড়িতে না থাকায় বিকেলে আবারও ওই ছেলে মেয়ের বাড়িতে যায় ও মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ, ১০ই জুন রাতে ওই ছেলে আবার মেয়ের বাড়িতে যায় ও ধর্ষণ চেষ্টার সময় তার পিতা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। এসময় মেয়ের বাবা সুষ্টু বিচারের আশায় পাকুন্দিয়া সহকারী ভুমি কমিশনারকে জানান। এরই ফাঁকে স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরণ, তার ভাই রতন ও আফাজ উদ্দিন ছেলে ও মেয়েকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এসময় তিনি ছেলে ও মেয়েকে ছেড়ে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তাকে ও তার পরিবারকে খুন ও জখন করে ফেরবে বলেও হুমকিও দেয়।
ঘটনার ২ দিন পর (১২জুন) সকাল ৮ টার দিকে রবিউল গাজিপুর চৌরাস্তা এলাকায় ওই মেয়েকে একটি হোটেলের সামনে ফেলে রেখে যায়। এসময় স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিনিধির মাধ্যমে তার বাবা জানতে পেরে মেয়েকে উদ্ধার করে ও প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
পরবর্তীতে, চন্ডিপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন এ বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দিলেও বিভিন্ন তালবাহানা করেন। তারপর তিনি এলাকাবাসীদের জানিয়ে পাকুন্দিয়া থানায় ১৭ জুন একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত পাকুন্দিয়ার চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হিরণ মিয়া জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মফিজুর রাহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে।