ঢাকার ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও বিজয় টিভির প্রতিনিধি জুলহাস উদ্দিন হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী হচ্ছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন। হত্যাকান্ডের সাথে সরাসারি জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবলীগ।
নিহত জুলহাসের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয় সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনকে। এসময় দুই হত্যাকারী শাহিন ও মোয়াজ্জেম কে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গ্রেফতার মোয়াজ্জেম হোসেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিরচর গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। ঘটনার পরের দিন শুক্রবার নিহতের বোন রিনা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় শাহিন ও মোয়াজ্জেমসহ ৫ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামায় আরো ৪ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলা সদরের বারাহিরচর গ্রামের মৃত বিষু ব্যাপারীর ছেলে মো শাহিন (৩৫), তিনি নিহত জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সাবেক স্বামী। তৈমুর হোসেন তুলার ছেলে আনিস (৩৪), ধামরাইয়ের চারিপারা গ্রামের মৃত গফুর মিয়ার ছেলে আল মামুন (৩৮) ও আব্দুল মালেক (৪০)।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা ও যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান জনি জানান, কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায়ভাড় যুবলীগ বহন করবে না। যুবলীগ কোনো অপরাধ বা অপরাধীকে সমর্থন কিংবা প্রশ্রয় দেয় না।
সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: খলিলুর রহমান জানান, অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেন কে সদর উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা কার্যকর করা হবে।
এদিকে সাংবাদিক হত্যকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ধামরাই উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার ফাঁসির দাবি জানান।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত শাহিন ও মোয়াজ্জেমকে চারদিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। ঘটনার সাথে আরো কেহ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।