সরকার প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি দপ্তরসমূহে দ্রুত কাজ সম্পন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে নির্দেশনা জারি করেছেন। সেই নির্দেশনাকে মেনে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ভূমি অফিসে সহজে পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। দ্রুত এবং সহজ মাধ্যমে মানুষকে সেবা ও পরামর্শ প্রদান করে অল্প কয়েকদিনে উপজেলা ভূমি অফিস আদমদীঘিবাসীর কাছে জনবান্ধব অফিস হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ছাড়া হয়রানিও হতে হয়না সেবা গ্রহিতাদের। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক যোগদান করার পর থেকে ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, অর্পিত, পত্যিক্ত সম্পত্তি, জলমহাল ও পরচাসহ যাবতীয় সেবা পেতে এখন আর সময় নষ্ট করতে হয়না। এ যেন উপজেলাবাসীর বাড়তি কিছু পাওয়া।
জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ভুমি অফিসে সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসাবে মাহবুবা হক গত ২০২০ সালের ৫ মে ওই উপজেলায় যোগদান করেন।
করোনাকালে মাহবুবা হক সরকারি নির্দেশনামতে ভূমি অফিসের আওতায় ভূমি মালিকদের জমি সংক্রান্ত সেবা মিসকেছ, নামজারী, ভূমি উন্নয়ন কর, অর্পিত ও পত্যিক্ত সম্পত্তি, জলমহাল সুষ্টভাবে দেখভাল ও পরচাসহ যাবতীয় ভূমিসেবা মালিকগন দ্রুত পাচ্ছেন। এজন্য এখন আর সময় নষ্ট করতে হয়না। এমনকি সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় কিংবা হয়রানিও হতে হচ্ছেনা সাধারণ মানুষকে।
ই-নামজারি করতে আসা উপজেলার জিনইর গ্রামের মুকুল হোসেন জানান, তিনি সরাসরি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাছে গেছেন এবং তার ৯শতক জমির খারিজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেয়েছেন। সরকারি ফি ছাড়া বাড়তি কোন অর্থ ব্যয় কিংবা হয়রানিও হতে হয়নি।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক জানান, আমার অফিস হচ্ছে জনবান্ধব অফিস। সেবা গ্রহিতাদের সাথে আমি সপ্তাহের প্রতি বুধবার সরাসরি সাক্ষাৎ করছি।