আমি তার সাথে দীর্ঘ ১৮ বছর ছিলাম,ধরতে গেলে তার সাথে রাত্রি দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই সময় দিয়েছি। তিনি আমার শিক্ষাগুরু এবং তিনি আমাকে শু পথেচলা শিখিয়েছেন। আমি তাহার সাথে তাহার দূর সময় ও সুসময় ছিলাম,আমি দীর্ঘদিন তার সাথে থাকায় তার কিছু মনের কথা জানতাম যে কথাগুলো আমি প্রকাশ করছি,
তিনি দীর্ঘ ছয় ছয় বার টাংগাইল পৌরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং তার ছয় বারের শেষের সময়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন।
তাহার দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা ছিল তাহার এলাকার জনগণের জন্য কিছু করবেন। সেই সুযোগটি সে তার কাউন্সিলর শেষ সময়ে হাতে পেয়ে গেল তাহার সেই সুযোগটি হল টিটমেন্ট প্লানিং পানি শোধনাগার এর একটি প্রকল্পের কাজ এলো সেটির তদারকি ছিল টাঙ্গাইল পৌরসভার।
সে সময়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ছিল সহিদুর রহমান খান মুক্তি সে সময়ে তাহার ওয়ার্ডের অন্য কাজ ছেড়ে দিয়ে শুধু জনগণের স্বার্থে
টিটমেন্ট প্লানিং পানির ট্যাংকের কাজটি তার এলাকায় করার চিন্তা করেন। এবং সেই কাজটি তিনি শক্ত হাতে এলাকায় করতে সক্ষম হন। এবং তারপর পরই উনি টাঙ্গাইল পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান।
এই পানির ট্যাংটি তার এলাকায় করার কারণে সে সময় তার পরিষদের কাউন্সিলর অনেকেই তাকে অনাস্থা ও দিয়েছিল তবুও তিনি পিছপা হন নাই। শুধু তার মনে ছিল এলাকার জনসাধারণের ভবিষ্যতের জন্য কিছু করবেন তিনিই তারই ফল হিসেবে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৭ নং ওয়াডে কাগমারী পাতুলী পাড়া ট্রিটমেন্ট প্ল্যানিং
পানির ট্যাংটির কাজ সম্পন্নের পথে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় যে তার এলাকার তার কিছু প্রতিনিধি হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় মাপের মানুষ গুলো তার মনের ভাষাটা বুঝতে পারে নাই এবং এত বড় কাজটি যে এলাকার জন্য সে করেছে তার মূল্যায়ন করার চেষ্টাও কখনো কোনদিন করে নাই,
যে ব্যক্তিটি তার জীবন উৎসর্গ করেদিয়ে ০৭ নং ওয়াডের মানুষের জন্য টাঙ্গাইলের অনেকের কাছেই সে সময় শত্রু হয়ে সিল। তার কিছুদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। সে বিষয়টি এলাকার তার কাছের অনেকেই ভেবে দেখার কোন চিন্তা করলো না।
তাই আমি ধিক্কার জানাই সেই মানুষ গুলোকে। তার মৃত্যুর আগে অনেকেই তার কাছ থেকে স্বার্থই নিয়েছে কিন্তু তাকে তো কেউ কিছুই দিলো না?
আমি তার এই কাজের সাক্ষী হিসেবে ১৮ বছর তার সাথে ছিলাম আমি একমাত্র দেখেছি সে এই কাজের কারনে কত লাঞ্ছিত হয়েছে মানুষের কাছে।
তাই আমি আমার নিজের চিন্তা থেকে এই এলাকার অনেক সচেতন মানুষের কাছে গিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম এই পানির ট্যাং টি তার নামে নামকরণ করার জন্য টাঙ্গাইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র জামিলুর রহমান মিরন ভাইয়ের কাছে সকলেই একত্রিত হয়ে যাব। এবং বলব এই পানির ট্যাংটি তার নামে নামকরণ করে দেওয়া হোক কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই তাহার সাথে কথা বলার সাহস পেলো না এবং গুরুত্ব দিয়ে দেখল না।
কিন্তু তারপর টাঙ্গাইল পৌর সভায় তার শোকসভায় টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র সাইফুজ্জামান সোহেল সাহেবের প্রস্তাবনায় তার নামে পালপাড়ার রোড টি নামকরণের জন্য প্রস্তাব করলেন। তবুও এলাকার কেউ দাঁড়িয়ে বললেন না যে এই পানির ট্যাংটি তার নামে নামকরণ করা হোক। যে কারণেই পালপাড়ার রোড টি প্রস্তাবনায় গৃহীত সিদ্ধান্ত হয় সেটিও আজ কয়েক বছর হয়ে গেল তবুও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এখন এই এলাকায় জনমত নিয়ে দেখা যায় এই এলাকার তরুন যুব সমাজ এবং সচেতন মানুষ গুলো পানির ট্যাংটি তার নামে নামকরণের সমর্থন দিয়েই চলেছে