কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়ার উপজেলা নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে ধর্ষণের দায়ে কুড়িগ্রামের যুবক রবিউল ইসলাম হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। সে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাটেশ্বরী গ্রামের মুখলেছুর রহমানের ছেলে।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মফিজুর রাহমান প্রতিনিধি কে বলেন, কুড়িগ্রাম থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে গতকাল ১৯ /৮/২০ সন্ধ্যা আমাদের থানায় হস্তান্তর করেছে। মেয়ের পিতার দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।থানার
মামলা সুত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়ার কোদালিয়া এস.আই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ওইএইসব শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইল ফোনের অপরিচিতো নাম্বারের মাধ্যমে পরিচয় হয় কুড়িগ্রামের রবিউলের । এ সময় চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিরণ, তার ভাই রতন ও আফাজ উদ্দিন নামের তিনজনের সহযোগীতায় একাধিকবার প্রেমিক রবিউল ওই মেয়ের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। ২০ মে মেয়েটির মা- বাবা বাড়িতে না থাকায় বিকেলে আবারও এই ছেলে মেয়ের বাড়িতে যায় ও মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম হৃদয়
সর্বশেষ, ১০ই জুন রাতে ওই ছেলে আবার মেয়ের বাড়িতে যায় ও ধর্ষণ চেষ্টার সময় তার পিতা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। এসময় মেয়ের বাবা সুষ্টু বিচারের আশায় পাকুন্দিয়া সহকারী ভুমি কমিশনারকে জানান। এরই ফাঁকে স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরণ, তার ভাই রতন ও আফাজ উদ্দিন ছেলে ও মেয়েকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এসময় তিনি ছেলে ও মেয়েকে ছেড়ে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তাকে ও তার পরিবারকে খুন ও জখম করবেন বলেও হুমকিও দেয়।
ঘটনার ২ দিন পর (১২জুন) সকাল ৮ টার দিকে রবিউল গাজিপুর চৌরাস্তা এলাকায় ওই মেয়েকে একটি হোটেলের সামনে ফেলে রেখে যায়। এসময় স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিনিধির মাধ্যমে মেয়ের বাবা জানতে পেরে মেয়েকে উদ্ধার করে ও প্রাথমিক চিকিৎএইসব সা করান।
পরবর্তীতে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন এ বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দিলেও বিভিন্ন তালবাহানা করেন। তারপর তিনি এলাকাবাসীদের জানিয়ে পাকুন্দিয়া থানায় ১৭ জুন একটি মামলা দায়ের করেন।