হঠাৎ গাড়ি পেয়ে যাত্রীদের উপচেপরা ভীড় গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার কর্মজীবী নারী-পুরুষ। গুরুত্বপূর্ণ এ মোড়ে গাড়িতে উঠার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে, যা দুর্ভোগের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। হঠাৎ করে একটি দুটি গাড়ি আসলেও সাধারণ ভাড়া থেকে তিনগুণ ভাড়া দাবি করছে। এ রুটে ৬,১০,১১ ছাড়াও লেগুনা, রাইডার চলাচল করে। বাস না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ ও গার্মেন্টস শ্রমিকরা মহানগরে পর্যাপ্ত গণপরিবহন থাকলেও কতিপয় বাস চালক এবং মালিকরা মিলে তা সংকটে রূপ দিয়েছে। ৫৫টি রুটে আঞ্চলিক ট্রান্সপোর্ট কমিটি (আরটিসি) অনুমোদন দিয়েছে মাত্র চার হাজার ৪২৯টি গাড়ি। তারপরেও ঠিকমত নির্দিষ্ট রুটে গাড়ি চলাচল করছে না বলে জানান যাত্রীরা। বিভিন্ন রুটে অনুমোদনপ্রাপ্ত গাড়ি সমূহ গার্মেন্টসসহ শিল্প কারখানায় রিজার্ভ সার্ভিস দেয় বলেও অভিযোগ তাদের। ফলে সকাল এবং সন্ধ্যায় গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গণপরিবহন নির্ভর মানুষদের। এতগুলো গাড়ি অনুমোদনের পর গাড়িগুলো গেল কোথায় প্রশ্ন জনমনে। যাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে গাড়ির কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ইপিজেড থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত বিটিআরসি ২০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত হলেও আদায় করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
বাস চালকদের দাবি, যানযট এর কারনে কাস্টম থেকে গাড়ি ইপিজেড এ যাইতে পারছে না তাই হঠাৎ গণপরিবহন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। গার্মেন্টস কর্মী রোকসানা রুকু বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রায় সময়ই গাড়ির সংকট থাকে। তবে আজ অতিরিক্ত সংকট। তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
রফিক নামে এক বাস চালক জানান, এই রুটের ৬,১০,১১ নাম্বার গাড়ি অধিকাংশ গার্মেন্টেসের রিজার্ভ ভাড়ায় গেছে। যার কারণে পরিবহন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।