যৌতুকের হিংস্র থাবা নিঃশেষ করে দিচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সিলিমপুর ইউপির খারজানা এলাকার এক গৃহবধূর জীবন। যৌতুকের দাবিতে স্বামী এমনই পাষণ্ড হয়ে উঠেছেন যে, নিজের দেড় মাসের শিশুকে বিক্রি করে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। তারপরও মেটেনি তার যৌতুকের ক্ষুধা। সে জ্বালা মেটাতে প্রতিদিন পাষণ্ড স্বামী শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছেন তার স্ত্রীর ওপর।যৌতুকের অমানসিক নির্যাতনের শিকার সে গৃহবধূ বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।এব্যাপারে গৃহবধুর মা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় গৃহবধুর স্বামীকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে নারী নির্যাতন মামলা করেছে। এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই গৃহবধূ জানান, দীর্ঘদিন আগে টাঙ্গাইল সদর
শুক্রবার গৃহবধূকে আবারো তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় পাষণ্ড স্বামী তার বড় ভাইসহ পরিবারের অন্যান্যরা তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালায়।স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলেও তারা কোনো কথা শুনেননি। পরে স্থানীয়রা নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দেখালে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মারাত্মক আহত অবস্থায় ভর্তি করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাদিক আলী এ নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ওই পাষণ্ড স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।