টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে। অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী নদীতে লাফিয়ে পড়ে জীবন রক্ষা করলেও শরীরের ৬০ ভাগই পুড়ে গেছে।
তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই গৃহবধূর নাম সুমি আক্তার। সুমির চাচা সোহেল মিয়া জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক করে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চরজাজিরা গ্রামের শাহজাহান সরকারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে নাগরপুর উপজেলার ভাররা ইউপির শাহজানী গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছরের মধ্যে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জানা যায়, স্বামী মামুন সম্প্রতি নৌ বাহিনীর চাকরি হারায়। বেকার হয়ে পড়ায় গাড়ি কেনার জন্য সুমির পরিবারকে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক মাস আগে সুমি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। ২৬ জুন রাত ১১টার দিকে মামুন সুমিকে ফোন করে মা অসুস্থ বলে বাড়িতে আসতে অনুরোধ করে। রাত ১২টার দিকে মামুন সুমিদের বাড়ি গিয়ে তাৎক্ষণিক তাকে নিয়ে বের হয়। পথিমধ্যে দ্রুত সুমির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে সে পালিয়ে যায়। সুমি চিৎকার করে পাশের নদীতে লাফ দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সুমি আক্তার বলেন, আমি মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।